শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক: ওজন নিয়ে সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। ওজন কমানোর বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহন করেন তারা। অনেকে ডায়েট বা খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তনের মাধ্যমে ওজন কমানোর চেষ্টা করেন এবং অনেকে ওজন কমাতে ব্যায়াম করেন। কিন্তু সফল হতে কোনো পদ্ধতি বেশি কার্যকর?
ওজন কমানো মানে ক্যালোরি কম খাওয়া এবং সেই সঙ্গে ক্যালোরি ঝরানো। প্রতিদিন ১২০০ ক্যালোরির খাবার খেতে হবে। সেই সঙ্গে ৫০০-৬০০ ক্যালোরি ঝরাতেই হবে। এর বেশি ক্যালোরি কোনোভাবেই খাওয়া যাবে না। আর বেশি খেয়ে ফেললে সেদিন একটু বেশি ওয়ার্ক আউট করতে হবে।
ডায়েট মানে একেবারেই না খেয়ে থাকা নয়। সবই খেতে হবে, তবে তা পরিমাণে কম হবে। সব সময় মাথায় রাখতে হবে যে আপনাকে ক্যালোরি বার্ন করতে হবে। আর ৮০ শতাংশ ডায়েট হলে ২০ শতাংশ এক্সসারসাইজ করতেই হবে। প্রতিদিন হয়তো ৬০০ ক্যালোরি বার্ন করার মতো এক্সসারসাইজ করার সময় পাবেন না। কিন্তু ৩০০ ক্যালোরি অন্তত বার্ন করতেই হবে। তবেই ডায়েট কার্যকরী হবে।
এক্সসারসাইজ করলে শুধুই যে ওজন কমবে তা নয়। তার সঙ্গে বডি শেপ ঠিক থাকবে। অন্যান্য রোগের হাত থেকেও মিলবে রেহাই। সেই সঙ্গে মেটাবলিক রেটের উপরেও কিন্তু নির্ভর করে কতটা এক্সসারসাইজ করবেন। মেটাবলিক রেট কম হলে এক্সসারসাইজ বেশি করতেই হবে। যদি সকালে এক্সসারসাইজ করেন তাহলে বিকালে হাঁটুন, সাঁতার কাটুন কিংবা সাইকেল চালান।
প্রতিদিন নিয়ম করে এক্সসারসাইজ করলে খিদে কম পাবে। সেই সঙ্গে হরমোনগুলোও ভালো করে কাজ করবে। তবে অনেক সময় টানা এক্সসারসাইজ করলে বেশি খিদে পায়। সেক্ষেত্রে লোভ সংবরণ করে বেশি কে পানি পান করুন। দুপুর ২টার পর অতিরিক্ত ভাজা, ফাস্টফুড, মিষ্টি এসব এড়িয়ে চলুন। রাত ৯ টার মধ্যে রাতের খাবার খান।
ওজন কমাতে হলে ডায়েট আর এক্সসারসাইজ দুটোই জোর কদমে চালিয়ে যেতে হবে। স্বাস্থ্যকর খাবার খান। কারণ ওজন কমাতে চাইলে মন ভালো রাখাও জরুরি। সেই সঙ্গে ত্বকের যত্ন নিন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে, বেশির শক্তি বাড়বে এমন খাবার খান।